ব্যবসাবাণিজ্য

তারল্য সংকট বা liquidity Crisis কি বিস্তারিত

তারল্য সংকট বা liquidity Crisis কি বিস্তারিত

কখনো যদি এমন হয় যে, একটি অর্থনীতিতে সব ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা একসাথে বেশি বেশি টাকা তুলছেন কিংবা অনেকেই ব্যাংকে টাকা আমানত রাখছেন না এমন ঘটনাকে বলে তারল্য সংকট (liquidity Crisis).

ছোট আকৃতির তারল্য সংকট হলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসে ব্যাংকিং সিস্টেমকে রক্ষা করতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে (যেমন সঞ্চয়পত্র কিনে) বাজারে টাকা প্রবেশ করাবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংককে সরাসরি ঋণ দিবে। এভাবে ব্যাংকিং সিস্টেমে টাকা ঢুকতে থাকবে এবং তারল্য সংকট কেটে যাবে। তবে এই সংকট সুবৃহৎ পর্যায়ে ঘটলে, যেমন সারা দেশে সবাই একসাথে টাকা তোলা শুরু করলে, কিছু করার থাকবে না। এমন পরিস্থিতিতে সব ব্যাংক প্রথমত নিজেকে বন্ধ ঘোষণা করে। এমন ঘটনাকে ইংরেজিতে বলে Bank Holiday. পরবর্তীতে ক্যাশ টাকা তোলার উপর সীমা আরোপ করে ব্যাংক ধীরে ধীরে সমাধানের চেষ্টা চালায়।

আপনার কি ওয়েবসাইট আছে? বারবার এডসেন্স এপ্লাই করেও রিজেক্টেড হচ্ছেন? নিয়ে নিন সমাধান

এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল এড়ানোর জন্য কী পরিমাণ ঋণের বিপরীতে একটি ব্যাংককে কী পরিমাণ তারল্য রাখতে হবে, তার সর্বনিম্ন সীমারেখা নির্ধারণ পূর্বক কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নীতিমালা প্রণীত থাকে। কোন ব্যাংকের তারল্য এই সর্বনিম্ন সীমার নিচে চলে গেলে উক্ত ব্যাংককে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়। এভাবে ব্যাংকিং রিস্ক একটি সীমার মধ্যে রাখা হয় এবং সম্পূর্ণ সিস্টেমে চেক এন্ড ব্যালান্স বজায় থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাংকিং সিস্টেমের পৃষ্ঠপোষক। সেইসাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, ব্যাংকিং নীতিমালা প্রণয়নে বাসেল কমিটি এবং মুদ্রাব্যবস্থা সচল রাখতে আইএমএফ কাজ করে যাচ্ছে।

ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট কারণ ও প্রতিকার

তারল্য সংকট নিয়ে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর ভিডিও পাবেন এক লিংকে: বাংলাদেশের ব্যাংকের তারল্য সংকট

ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট কারণ ও প্রতিকার

তাত আগে চলুন জেনে নেই বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংক গুলোর তারল্য সংকট এর বর্তমান অবস্থা: তারল্য সংকট এর কারণে বর্তমানে কিছু ব্যাংক সুবিধামতো সিআরআর জমা রাখতে পারছে না। এখন ক্রমাগত তারল্য ঘাটতি এর একটা নমুনা নিচে তুলে ধরা যাক; ব্যাংক গুলোর কাছে ২০২২ সাল এর অক্টোবরে অতিরিক্ত তারল্য ছিলো ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা। তবে এই টাকার মধ্যে প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য অতিরিক্ত তারল্য ছিল মাত্র ১২ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা।

Show More